Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

এক নজরে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী মিয়াঃ

মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী মিয়া ১৯৩০ সালে নোয়াখালী জেলার অমত্মর্গত রামগঞ্জ উপজেলার দেবনগর গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ আনছার আলী খন্দকার। মাতার নাম ফুলবানু। দুই ভাইবোনের মধ্যে আলী মিয়া ছিল সবার বড়।

৮/৯ বছরের কিশোর আলী পরিবারের সীমাহীন অভাবের তাড়নায় দরিদ্র নিপীড়িত মাতাপিতাকে সাহায্য করার মানসে অনাথ ভাইবোনদের ও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে, অনাহার ক্লিষ্ট  ছোট ভাই বোনদের মুখে হাসি ফুটানোর দূর্বার আগ্রহে গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষকদের ধান ও পাট ক্ষেতে আগাছা নিড়ানোর কাজ নিলেন।

আলী মিয়ার জীবনের পরবর্তী কালের গণ-মানুষের নেতৃত্ব দানের অভিলাষ, ব্যক্তিত্ব, প্রতিভা বিকাশের প্রথম প্রকাশ।

১০/১২ বছরের বালক আলী অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে দুঃখী বাবা মায়ের দুঃখ মোচনের অদম্য অভিলাষে জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমালেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মাটিতে।

১৯৬১ সালে ৭০ হাজার মুসলমান তদানীমত্মন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেট ও কুমিলস্না জেলায় জোর পূর্বক পার করে দেয়। আলী মিয়াও উক্ত সময়ে ভারত থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়। হতভাগ্য আলী ও তার বন্ধু গফুর আবারও সর্বশ্বান্ত হয়ে পাকিস্থানী উদ্বাস্থু শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করে।

আলীর গল্পময় জীবনের বহস্যময় ও বৈচিত্রময় দ্বিতীয় অধ্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রামগড় আগমের পর শুরু হয়। দু’মুঠো অন্নের জন্য আলী ও এ বাড়ী থেকে ও বাড়ী ঘুরতে লাগলেন। ১৯৬২ সালের শেষের দিকে রামগড় মহকুমা প্রশাসক আলীর নেতৃত্বে দুইশত পরিবারকে লামা থানাধীন ফাঁসিয়াখালী মৌজায় প্রেরণ করার জন্য সিদ্ধামত্ম নিলেন।

          নেতৃত্ব পিপাসু আলী মিয়া ফাঁসিয়াখালী মৌজার পদার্পন করলেন দু’শত পুনর্বাসিত পরিবার নিয়ে। তার দলে প্রায় ২২ শ লোক ছিলো। রামগড় থেকে আলী মিয়া ২শ পরিবার রিপুজি নিয়ে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী মৌজায় আসেন। সেখানে পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আলীর মনে উদয় হলো যেন পৃথিবী সৃষ্টির আদি হতে অদ্যাবধি আলীরাই এখানে প্রথম এসেছে। ১৩ টি পরিবার নিয়ে আলী মিয়া অত্যন্ত দুঃসাহসিকতার সাথে হিংস্র বন্য ও জন্তু জানোয়ারের ছোবল অগ্রাহ্য করে বাদবাদী সকলে পালিয়ে গেল গহীন বনের মৃত্যু গুহা থেকে।

১৯৬২ সালে আলী মিয়া উপজাতি অউপজাতীয়দের বিপুল সমর্থনে লামা ইউনিয়ন কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় সদস্য পদ লাভ করেন। মেম্বার আলী মিয়ার জানা আছে যে, জনসেবা করতে হলে প্রথমে নিজেকে হতে হবে স্বচ্ছল। অভাবগ্রস্থ লোকের পক্ষে জনসেবা করা খুবই দূরূহ এবং কঠিন ব্যাপার।

১৯৭৩-৭৪ সালে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে লামা ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

১৯৮৫ সালে সরকার স্থানীয় সরকার পদ্ধতিতে জনগনের মনোনীত প্রতিনিধিদের উপর দায়িত্ব হমত্মামত্মর করে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণকে সফল করার উদ্যোগ নিলে সঙ্গত কারণেই আলী মিয়াকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্যে জনগণ মনোনীত করে।